কন্ঠ ১ – হ্যালো নীরেনবাবু?
কবি - বলছি।
কন্ঠ ১ - দাঁড়ান... দাঁড়ান। বাকিদের কনফারেন্স
করাই।
কবি - আপনি?
কন্ঠ ১ - একটু অপেক্ষা করুন। সবাইকে ডেকে নি।
(কয়েক মুহূর্তের নীরবতা।)
কন্ঠ ১ - হ্যাঁ। এবার সবাই আছে।
কবি - কিন্তু কী ব্যাপার বলুন তো? আমি কিছুই
বুঝতে পারছি না।
কন্ঠ ১ - আজকের দিনে আপনাকে আমরা সবাই মিলে
ধন্যবাদ জানাতে চাই।
কবি - ধন্যবাদ। কিন্তু কেন?
কন্ঠ ১ – আমাদের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তোলার জন্য নীরেনবাবু। আপনি না থাকলে শুধু ইংরেজি বইয়ের মধ্যে দিয়ে কি আর কোটি কোটি বাঙালীর
ছোটবেলার সুখস্মৃতিতে জায়গা করে নেওয়া যেত? সত্যজিৎবাবুর গল্পে আমাদের বইয়ের কথা ছিল।
কিন্তু এরকম ঝরঝরে বাংলা ভাষায় পড়ার টেবিলের পাশের জানলা দিয়ে বাচ্চাদের ঘরে
ঢুকিয়ে বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা আর নন্টে-ফন্টেদের পাশে আমাদের বইয়ের জায়গা তো আপনিই
করিয়ে দিলেন।
কন্ঠ ২ – আপনার লেখা পড়লে প্রাণ যেন জুড়িয়ে যায়।
জামাইকার রামেও এরকম নেশা নেই।
কবি - আপনাদের কথা শুনে খুবই অবাক লাগছে!
কন্ঠ ৩ – কাক উড়ছে! আমার পেন্ডুলাম দেখাচ্ছে
ওগুলো আরও পশ্চিমে যাবে।
কন্ঠ ২ – যত্ত সব গেঁড়ি-গুগলির ঝাঁক! প্রোফেসার আবার
কোন...
কন্ঠ ৩ – বাবার বোন! আপনার লজ্জা করে না
ক্যাপ্টেন?
কন্ঠ ১ – শান্ত হন প্রফেসার। মানিকজোড় আপনারা
কিছু বলবেন?
কন্ঠ ৪/৫ – ঠিক। আমাদের পক্ষ থেকেও ধন্যবাদ।
কন্ঠ ৫/৪ – ঠিক কথাটা হবে আমাদের পক্ষ বাদ দিলেও
ধন্য।
কন্ঠ ২ – যাচ্চলে! এ দুটোকে নিয়ে তো আর পারা যায়
না। আমার আবার এদিকে ভীষণ কান চুলকোচ্ছে!
কবি - কান চুলকোচ্ছে?
কন্ঠ ২ – ওফ্... বুঝেছি! পাজি! কুমড়োপটাশ!
প্লাটিপাস! শুঁয়োপোকা! জলদস্যু! টেরাডাকটিল! ব্রান্টোসরাস!
কন্ঠ ১ – কী ব্যাপার ক্যাপ্টেন?
কন্ঠ ২ – আর বল কেন। অলম্বুষ আবদুল্লাটা ফোনের
রিসিভারে চুলকুনি পাউডার লাগিয়ে রেখেছে! একবার ব্যাটাকে হাতের কাছে পাই!
কন্ঠ ৬ – যাবেন না ক্যাপ্টেন হ্যামক। আজকের এই
শুভদিনে আমি ফাউস্টের জুয়েল সং একবার গাইব!
কন্ঠ ২ -
ওরে বাবা! দুর্যোগ! দুর্বিপাক! কেলেঙ্কারি! গোলমেলে টাইফুন! আমি ফোন রাখছি
টিনটিন!
কট্... একটা লাইন কেটে গেল।
কন্ঠ ১ – ইয়ে সিনিওরা... গানটা নাহয় আজকে থাক। নীরেনবাবুর বয়স হয়েছে। আজকে আমাদের জন্মদিনে এই সামান্য ধন্যবাদটুকুই থাক।
কবি – সবই তো বুঝলাম। কিন্তু তোমরা সব বেলজিয়াম,
ইংল্যান্ড আর ইতালির লোক হয়ে বাংলা বলছ যে! তোমাদের বাংলাটা শেখালো কে?
-
কেন নীরেনবাবু? আপনি।