Monday, January 5, 2015

উত্তর বাংলার আনাচে কানাচে - ১

সবাইকে ২০১৫ সালের শুভ নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা। নতুন বছরের প্রথম পোস্ট, স্পেশাল তো বটেই। আর শুধু তাই নয়, এটা আমার ব্লগের শততম পোস্টও বটে। যাকে বলে শতবার্ষিকী পোস্ট বা পঁচিশ টাকার পোস্ট (শত বার সিকি = ২৫ টাকা)। পিজের জন্য দুঃখিত, তবে সব সময় তো আর লোভ সামলানো যায় না!
--------------------------------------------------------------------------------------

ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানটা বানানো হয়েছিল সেই সেপ্টেম্বর মাসে। প্রথমে যেটা নিয়ে সবচেয়ে বেশী বাগবিতণ্ডা হয়েছিল তা হল গন্তব্যস্থান! উত্তর ভারত না উত্তর বঙ্গ, সেটাই ছিল প্রশ্ন। একদিকে সিমলা, কুলু, মানালি এবং জিম করবেট ন্যাশানাল পার্ক আর অন্যদিকে দার্জিলিং, কালিম্পং আর গরুমারা, জলদাপাড়ার ন্যাশানাল পার্ক।
শেষ অবধি ডিসেম্বর মাসে উত্তর ভারতের কুখ্যাত কুয়াশার কথা ভেবে আমরা ঐ অপশনটা বাতিলই করে দিলাম। পরে যখন ঘুরতে ঘুরতে মোবাইলে উত্তর ভারতের ঘন কুয়াশায় ট্রেন লেট আর বাতিলের খবরগুলো দেখছিলাম তখন নিজেদের সুবিবেচনার প্রতি শ্রদ্ধা যারপনাই বেড়ে গেছিল।
সুতরাং উত্তর বঙ্গ। ক্যালন্ডার দেখে অফিসে ছুটির প্ল্যান কনফার্ম করার পর ঘোরার দিনগুলো ফাইনাল করলাম। সঙ্গীসাথি বেশী না পাওয়ায় শেষ অবধি গেলাম আমরা দুজনেই। আমি এবং পিউ। সেই ফেসবুক-খ্যাত ভদ্রমহিলা যিনি দয়া করে আমার সহধর্মিনী হয়েছেন গত বছর।
ঘোরার দিন ঠিক হল, অতঃপর ট্রেনের টিকিট কাটা, ইন্টারনেট ঘেঁটে ফেলে বিভিন্ন সাইট থেকে ফিডব্যাক দেখে হোটেল ঠিক করা, অনলাইন বুকিং করা... এসব করতে লেগে গেল দিন দশেক। এই সবের চক্করে ২রা জানুয়ারীর ফেরার টিকিট কাটতে ভুলেই গেছিলাম। যখন মনে পড়ল তখন দোসরার কোন ট্রেনেই টিকিট নেই। সুতরাং দুটো টিকিট কাটা হল। একটা দু তারিখের দার্জিলিং মেলের ওয়েটিং লিস্ট, অন্যটা তিন তারিখের শতাব্দীর কনফার্ম টিকিট, ট্রেনের সময় ভোর ৫:৩৫।
ফেরার ট্রেনের কথা বলে দিলাম বটে তবে আগে বলা উচিত ছিল যাওয়ার কথা লেখা। সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ পরিকল্পনা বলতে গেলে এইরকম...
ডিসেম্বর ২২ – শেয়ালদা স্টেশান থেকে রাত ১১টার পদাতিক এক্সপ্রেসে যাত্রা শুরু
ডিসেম্বর ২৩-২৫ – দার্জিলিং
ডিসেম্বর ২৬ – কালিম্পং
ডিসেম্বর ২৭ – লাভা
ডিসেম্বর ২৮-২৯ – লোলেগাঁও
ডিসেম্বর ৩০ – গরুমারা
ডিসেম্বর ৩১- জানুয়ারী ১ – জলদাপাড়া
জানুয়ারী ২/৩ – ফেরা

আর বেশী ধানাই-পানাই না করে ঘোরার গপ্পগুলোতে চলে যাই। একবারে হয়তো সবগুলো লেখা হবে না, কয়েক খন্ড লেগে যেতে পারে। শুধু দার্জিলিং-য়ের গল্প লিখতেই দুটো পর্ব লেগে যাবে। তাই প্রথম খণ্ড দার্জিলিং-১।


দার্জিলিং-১
শীতল শহরের উষ্ণ মানুষগুলি

নিউ জলপাইগুড়ি অবধি রাতের ট্রেন যাত্রায় সেরকম স্মরনীয় কিছু হয়নি। তবে আমাদের ক্যুপের অন্যান্য সহযাত্রীরা যখন লুচি-আলুরদম দিয়ে নৈশভোজ করছিলেন তখন সেটা দেখে পিউ ফিসফিস করে লুচি-আলরদমের জন্য বায়না ধরেছিল! সুতরাং ওনাদের যদি পরদিন সকালে পৈটিক গোলযোগ ঘটে থাকে তাহলে তার জন্য কে দায়ী ছিল তা আমরা এখন জানি!
এনজেপি স্টেশানে নেমে ‘নিউ সিকিম ট্র্যাভেল’র কাছ থেকে গাড়ি নিয়ে দার্জিলিং-র জন্য রওনা হলাম। সে যাত্রা খুব একটা সুখপ্রদ হয়নি। আসলে গাড়ির ড্রাইভার লোকটি খুব একটা সুবিধার ছিল না। একটু যেতে না যেতেই গাড়ী গড়বড় করতে লাগল। সেটা ঠিক করতে লাগলো মিনিট চল্লিশেক। তারও কিছুটা পর ড্রাইভারটি আমাদের মিরিক ভ্রমনের প্রস্তাব দিল। অবশ্যই একটু বেশী টাকার বিনিময়ে। এই প্রস্তাব আমরা আগেই পেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের প্ল্যান ছিল আগে দার্জিলিং পৌঁছে তারপর যেখানে যাওয়ার যাওয়া যাবে। সেটা মধুরভাবে তাকে জানিয়ে দেওয়ার পরেই তার গাড়ী আবার বিগড়লো। বেশী বর্ণনায় যাচ্ছি না তবে বেশ কিছুটা ঝামেলার পর অন্য একটা সুমোয় আরো কিছু লোকের সঙ্গে আমরা দার্জিলিং-এর পাহাড়ি সোল হোটেলে যখন পৌঁছলাম তখন পাঁচটা বেজে গেছে। অন্ধকার নামছে আস্তে আস্তে, কিন্তু তাতেও হোটেলের বারান্দা থেকে আকাশের গায়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার প্রথম দর্শনে কিন্তু বাধা পড়েনি।
হোটেলে পৌঁছে একটু ধাতস্ত হওয়ার পরেই যেটা অনুভব করলাম তা হল হাড় কাঁপানো শীত। দার্জিলিং ঠান্ডা হবে জানতাম কিন্তু এতটা ঠান্ডা হতে পারে তার ধারনা ছিল না। পিউয়ের ঠান্ডার ধাত আমার চেয়েও বেশী আর তাই রুম হিটার, ইলেকট্রিক কম্বল, লেপ থাকা সত্ত্বেও বেশ ভালোই কাঁপুনি ধরেছিল ওর। প্রথম দিনের টুকটাক গন্ডগোলের পার্ট হিসেবেই হয়তো সন্ধ্যেবেলা বার দুয়েক লোডশেডিং হল, দ্বিতীয়বার প্রায় ঘন্টা খানেকের বেশী। হোটেলের অমৃত বলে একটি ছেলেকে জিজ্ঞেস করে জানা গেল এরকম লোডশেডিং দার্জিলিং-এ প্রায়ই হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ভ্রমণের বাকি দিনগুলোতে কিন্তু কোথাওই বিদ্যুৎ নিয়ে কোন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি। প্রথম দিন আরো মজা হল রাতের খাবার নিয়ে। তখনও বুঝিনি যে ওসব জায়গায় লোকে কত তাড়াতাড়ি খেয়ে নেয়। তাই আমরা যখন ডিনার টাইম বললাম ৯.৩০ তখন অমৃত মুখ কাঁচুমাচু করে বলল, “ইতনা দের তক্‌ ডিনার নেহি মিলেগা সাব”
জিজ্ঞেস করে জানা গেল যে, ঐ হোটেলে ডিনারের টাইম ৭.৩০ থেকে রাত ৯টা অবধি। সেদিন আর বাকি দিনগুলোতে আমরা ডিনার অর্ডার করতাম ৮.৩০ নাগাদ কিন্তু ৮টা বাজতে না বাজতেই ওরা ডিনারের জোগাড়যন্ত্র শুরু করে দিত। আমি প্রথম দিন খেয়েছিলাম চিকেন থালি, যেখানে পিউ নিল থুকপা। থুকপা আর কিছুই নয়, একটা মস্ত বড় বাটিতে স্যুপ, যার মধ্যে চিকেন, নুডলস আর অন্যান্য সবজি দেওয়া। খেতে খুবই ভালো এবং ঠান্ডা জায়গায় খাওয়ার পক্ষে আদর্শ। প্রথম রাত্তিরে বেশ  তাড়াতাড়িই শুয়ে পড়লাম কারণ ততক্ষণে পরের দিনের গাড়ী ঠিক হয়ে গেছে। আমাদের প্রথম গন্তব্য টাইগার হিল। গাড়ীর সময় ভোর সাড়ে চারটে।
জীবনে প্রথম টাইগার হিলে সানরাইজ দেখার বর্ণনা পড়েছিলাম সেই ছোট্টবেলায় টেনিদার উপন্যাস ‘ঝাউ-বাংলোর রহস্য’ পড়ার সময়। তার পরে আজ অবধি ঐ উপন্যাসটি আরো বার দশেক পড়ার ফলে এখন সে বর্ণনা প্রায় মুখস্ত)

পরদিন ভোর চারটায় টাইগার হিলে রওনা হলুম আমরা। বাপস্‌, কী ঠাণ্ডা! দার্জিলিঙ ঠাণ্ডায় জমে আছে। ঘুম স্টেশন রাশি রাশি লেপ কম্বল গায়ে জড়িয়ে ঘুমে অচেতন। শীতের হাওয়ায় নাক-কান ছিঁড়ে যাওয়ার জোর। ল্যান্ড রোভার গাড়ি, ঢাকাঢাকি বিশেষ নেই, প্রাণ ত্রাহি ত্রাহি করে উঠল।
টেনিদা চটে বললে- ধুত্তোর ঘোড়ার ডিমের টাইগার হিল। ক্যাবলার বুদ্ধিতে পড়ে যত ভোগান্তি। একেবারে জমিয়ে দিলে।
হাবুল বললে- হ, আমাগো আইসক্রিম বানাইয়া ছাড়ব।
...
তারপর সেই সূর্য উঠল। কেমন উঠল? কী রকম রঙের খেলা দেখা দিল মেঘ আর কাঞ্চনজঙ্ঘার ওপরে? সে আর আমি বলব না। তোমরা যারা টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখেছ, তারা তো জানোই; যারা দেখোনি, না দেখলে কোনওদিন তা জানতে পারবে না।
ক্লিক ক্লিক ক্লিক! খালি ক্যামেরার শব্দ। আর চারদিকে শুনতে পাচ্ছি, ‘অপূর্ব! অদ্ভুত! ইউনিক!’
টেনিদা বললে- সত্যি ক্যাবলাকে মাপ করা যেতে পারে। এমন গ্রান্ড সিনারি কোনওদিন দেখিনি।

প্রতিটা শব্দ মিলে না গেলেও আমাদের অভিজ্ঞতাও ঐ রকমই। গাড়ী এল ভোর সাড়ে চারটের আগেই। আমরাও তিন-চার স্তরে গেঞ্জি, সোয়েটার, জ্যাকেট পরে তৈরি ছিলাম, সঙ্গে টুপি, মাফলার, গ্লাভস... তারপরেও শীত হার মানাচ্ছিল না। কিন্তু অত আগে বেরিয়েও হিলের প্রায় দু কিলোমিটার আগেই গাড়ী থেকে নামতে হল। কারণ তার আগের রাস্তাইয় লাইন দিয়ে গাড়ী দাঁড়িয়ে আছে। বুঝতে পারলাম যে টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখার জন্য লোকে বোধহয় রাত তিনটের সময়ও হোটেল থেকে বেড়িয়ে পড়েছে। সত্যি বলতে কী, বেশ ভালোই খাটাখাটনি করতে হয়েছে, ঐ পাহাড় বেয়ে ওঠা, কনকনে ঠান্ডার মধ্যে... পিউয়ের প্রায় জিভ বেরিয়ে গেছিল। অতঃপর প্রায় মিনিট পঁয়তাল্লিশ অপেক্ষার পালা। টাইগার হিলের ওপর তখন প্রায় হাজার দুয়েক লোক, সকলেই মাথা থেকে পা অবধি যতরকম সম্ভব গরম কাপড়ে ঢেকে হাতে স্টিল ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা বা নিদেনপক্ষে মোবাইল ফোন নিয়ে রেডি।

একদিকে সূর্য ওঠার আগের আকাশ আস্তে আস্তে লাল রঙ ধরছে অন্যদিকের আকাশের বুকে জেগে আছে রাজকীয় কাঞ্চনজঙ্ঘা আর তার আশে পাশের অন্যান্য শৃঙ্গগুলি। শেষ অবধি সূর্য ওঠার পর যখন কাঞ্চনজঙ্ঘার মাথায় লাল রঙের টোপর ফুটে উঠল তখন বাকি সবার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মুখ দিয়েও একটা বিস্ময়সূচক বাঃ বেরিয়ে এলো। ছবি যে কত উঠল সেটা আর গুনে দেখেনি। কিন্তু শুধু হাতের ক্যামেরাতেই নয় মনের ক্যামেরাতেও সেই ছবি রয়ে গেল চিরকাল। আর শুধু কাঞ্চনজঙ্ঘা তো নয় তার পাশের অন্য শৃঙ্গগুলোতেও রঙ ধরল একে একে।
টাইগার হিল থেকে যখন নেমে আসছি তখন ফোনে দেখলাম টেম্পারেচার ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যখন গেছিলাম তখন বোধহয় ২-৩ ডিগ্রী ছিল। ওখান থেকে নেমে হোটেল যাওয়ার আগে আমরা গেলাম বাতাসিয়া লুপ। ফুলের বাগান, স্মৃতিস্তম্ভ আর টয়ট্রেনের লাইন সব একসঙ্গে উপস্থিত বাতাসিয়া লুপে। সেখানেও ছবি তুলে ফেললাম কাঞ্চনজঙ্ঘার। সঙ্গে ভাড়া করা দূরবীনে দেখলাম নাথুলা পাস, কাঞ্চনজঙ্ঘা আর অন্যান্য শৃঙ্গের ক্লোজআপ... তাও মন্দ লাগলো না। ওখানেই আমি আর কম্পনরতা পিউয়ের কিছু সেলফি নিয়েছিলাম, কিন্তু সেই ছবিগুলো শেয়ার করলে আমার হঠাৎ করে শারীরিক অসুস্থতার কারনে এই ব্লগ লেখা বন্ধ হয়ে যেতে পারে, তাই সেই ছবি দেওয়া থেকে বিরত রইলাম।
তবে ওখানেই এক পেঁয়াজী বিক্রেতার সঙ্গে পিউয়ের কথপোকথনটা এখানে তুলে দিচ্ছি,
পিউঃ ইঁহা কিতনা ঠান্ড হ্যায়!
বিক্রেতাঃ হাঁ, হাম ভি যাব আয়ে থে তো অ্যায়সা হি লাগতা থা।
পিউঃ আপ কা ঘর কাঁহা হ্যায়?
বিক্রেতাঃ বিহার, কভি কভি যাতে হ্যায় ঘর...
পিউঃ যাতে হ্যায় তো ফির সে আতে কিঁউ হ্যায়? ইতনা ঠান্ড মে ম্যায় একবার যাতি তো লোটকে নেহি আতি!

হোটেলে ফিরে ব্রেকফাস্ট করে আমরা আবার বেরোলাম দশটা নাগাদ। আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিল রক গার্ডেন। পাহাড়ের গায়ে বানানো একটি বাগান, ছোট্ট, সুন্দর, রঙচঙে... সঙ্গে একটা জলপ্রপাতের ধারা নেমেছে। যদিও রক গার্ডেনের কাছের গঙ্গা মাইয়া জলপ্রপাতের রাস্তা বন্ধ কিন্তু শুধু রক গার্ডেনের জন্যই একবার যাওয়াই যায়। রক গার্ডেনের আর এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল নেমে আসার সময় পিউয়ের একবার হোঁচট খেয়ে পড়া। এমনিতে বিশেষ লাগেনি তবে বাঁ হাতের ওপর ভর দিয়ে পড়ার ফলে পরের কদিন বেশ ব্যাথা ছিল আর গোটা ট্রিপে সময় সময়ে আমাকে ওর হাতে ভোলিনি লাগিয়ে যেতে হয়েছে।


আজ এই পর্যন্তই... বাকিটা আবার কাল-পরশুর মধ্যেই আসবে!
(চলবে)

পর্ব - ২           পর্ব - ৩          পর্ব - ৪            পর্ব - ৫            পর্ব - ৬            পর্ব - ৭

10 comments:

  1. Luchi Alurdom er ghatona ta Pandab Goenda der berano ke mone poriye dilo. Porer porbo gulor janye odhir agrohe opekkha kore roilam.

    ReplyDelete
  2. বাঃ বাঃ, দারুণ ঘোরা হল আমারও দার্জিলিং, পরের কিস্তির অপেক্ষায় রইলাম, তপোব্রত।

    ReplyDelete
  3. Dhonyobad Saugata ar Kuntala!

    Kuntala, ami abar bose achi tomar Lucknow bhromoner golpo porbo bole!

    ReplyDelete
  4. Khub recently Sheet e Upekhita porlam ebar Tapo r Lekha.baki lekhata r jonyo opekhai roilam

    ReplyDelete
  5. যাকে বলে মিষ্টি লেখা!

    ReplyDelete
  6. Dhonyobaad... porer part ar kodinei aschhe!

    ReplyDelete
  7. mathaye buddhi thakle keu Bihar theke Darjiling er har knapano thandaye ese pneyaji bechto na! bhul ta ki bolechhi :\

    ReplyDelete
  8. thanda-e peyaji bechte geche .. bikri bhalo hobe!! :P

    ReplyDelete
  9. Oi haar knapano thandae kintu pneyajigulo darun legechhilo!! :D

    ReplyDelete
  10. Tapabrata, sorry. er modhyesomoy paini bhalo bhabe porar. Aaj ak ak kore bhalo kore pora suru korlam. Prothom lekhata darun laglo. Shonku Maharaj er lekha bhromon kahini gulor kotha mone porlo.

    ReplyDelete

"It’s always very easy to give up. All you have to say is ‘I quit’ and that’s all there is to it. The hard part is to carry on”